• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩০, ১২ রজব ১৪৪৬

সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না ভারত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ০২:১০ পিএম
সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না ভারত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না ভারত। তবে ১৫০ গজের বাইরে নির্মাণে বাংলাদেশের কোনো আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অসম চুক্তির কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কিছু ঝামেলা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমাদের জনগণ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কারণে তারা সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণসহ নানা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।”

রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে এ পর্যন্ত চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭৫ সালের সমঝোতা স্মারকে রয়েছে, সীমান্তরেখা বা শূন্যরেখার উভয় দিকে ১৫০ গজের মধ্যে পক্ষ প্রতিরক্ষা বিষয়ক কোনোকিছু করা যাবে না। একই স্থানে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে হলে একে অপরের সম্মতি নিতে হবে। সম্মতি ছাড়া কেউ এসব কাজ করতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩ হাজার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ভারত এরই মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ফেলেছে। বাকি আছে ৮ হাজার ৮৮৫ কিলোমিটার। বিগত সরকারের আমলে ২০১০ থেকে ২০২৩ সালের ভেতরে ভারতকে কতগুলো অসম সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে দেশটি ১৬০টি স্থানে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঝামেলা করেছে। আরও ৭৮টা স্থানে ঝামেলা তৈরি করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তিন বিঘা করিডরসহ পাঁচটা স্থানে সম্প্রতি সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিজিবি শক্ত অবস্থান নেওয়ায় তারা কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এ জন্য বিজিবি এবং আমাদের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই।”

মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে বড় একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেটা হলো আগের সরকার তাদের কিছু লিখিত দিয়ে গেছে যে তারা এই কাজ করতে পারবে, ওই কাজ করতে পারবে। অথচ এই লিখিতগুলো দেওয়া বিগত সরকারের উচিত হয়নি। এর মধ্যে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে তিন বিঘা করিডরে। ১৯৭৪ সালে যে বেরুবাড়ি চুক্তি হয়েছিল তখন আমরা বেরুবাড়ি দিয়ে দিয়েছি, কিন্তু তারা তখন আমাদের দেয়নি। আর ২০১০ সালে চুক্তির সময় বলা হয়, ১৫০ গজ নয়, তারা জিরো লাইনের মধ্যেই কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে। সেখানেও আমরা বাধা দিচ্ছি। যেটা ২০১০ সালের লিখিত অনুযায়ী দিতে পারি না। সবগুলো বিষয়ে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করেছি। তারাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। ফেব্রুয়ারিতে মহাপরিচালক পর্যায়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তখন এসব অসম চুক্তি বাতিলের কথা বলা হবে।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!