• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩০, ৩ রজব ১৪৪৬

সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

সীমান্তে সব বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।”

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সীমান্ত ঘুরে কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়াস্থল নাফ নদে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন জেটি ঘাটে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “নতুন করে যারা অনুপ্রবেশ করেছে, তাদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পুরোপুরি বিজিবির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তে স্থানীয়দের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে কিছু দালাল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সহযোগিতা করছে।”

মাদকের জন্য টেকনাফ পরিচিত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “মাদকের জন্য বাংলাদেশে মি. বদির জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু মাদক অনেক আগের সমস্যা। তবে মাদক রোধ করতে হবে, সবার সহযোগিতা দরকার। কারণ এটা শুধু আইন দিয়ে সমাধান করা সম্ভব না। সীমান্তে সব পরিস্থিতি সমাধান হয়ে গেলে নাফ নদে মাছ শিকারসহ শাহপরীর দ্বীপে করিডোর খুলে দেওয়া হবে।”

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমাদের স্বার্থ রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে প্রথম থেকে মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। এখনো সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। তবে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তায় বিজিবি ও কোস্টগার্ড পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এতে সীমান্তবাসীর আতঙ্ক হওয়ার কারণ নেই।”

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‌“সীমান্ত বাহিনীর অগোচরে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। সব বাহিনীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফাঁকি দিয়ে কিছু বাংলাদেশি অসাধু দালালচক্র মরিয়া হয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে। এ দালালচক্রকে প্রতিহত করতে সবার সহযোগিতা দরকার। না হলে এরা ভয়ংকর হয়ে উঠবে।”

Link copied!