দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ফের বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম নির্ধারণের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা আগের দামেই তেল বিক্রি করছেন। আগের মূল্যে তাদের কাছে তেল থাকার কারণে তারা নতুন মূল্যে এখনো বিক্রি করছেন না।
এ বিষয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, “আগের দামের কিছু তেল এখনো আমার কাছে আছে তাই এখনো ১৮৭ টাকা করে বিক্রি করছি। নতুন দামে মাল আসা শুরু করলে তখন আমাদেরও এই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হবে।”
দাম বাড়লে তাদের বিক্রি ভাল হয় না জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লে বিক্রি কমে যায়। তখন আমাদের লাভ কম থাকে। ক্রেতাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে আছে। আগে যিনি ৫ লিটার নিতেন, তিনি এখন ২০ লিটার নিতে চাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে ক্রেতাদের দোষ নাই। দাম বেড়ে যাওয়ার ভয় থেকেই এই বাড়তি তেল নিয়ে যাচ্ছেন।”
দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ওপর চাপ পড়েছে দাবি করে এক ক্রেতা বলেন, “যাদের কাছে টাকা আছে তাদের জন্য হয়ত তেমন সমস্যা না। কিন্তু যাদের টাকা নাই, তারা দোকানে এসে অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকে। মানুষের আয় তো বাড়েনি, ব্যয় বেড়েছে। তাই এই সময় তেলের দাম বাড়নোটা ঠিক হয়নি। তেলের সঙ্গে সঙ্গে তো সবকিছু দাম বেড়ে যাবে।”
ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারপ্রদত্ত ভ্যাট অব্যহতির মেয়াদ ৩০ এপ্রিল শেষ হওয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানোফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এই নতুন দাম নির্ধারণ করেছে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী- খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৬০ টাকা, পাম সুপার খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে।