• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজস্ব বাড়লে ব্যাংক ঋণের ওপরে চাপ পড়বে না : অর্থসচিব


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
রাজস্ব বাড়লে ব্যাংক ঋণের ওপরে চাপ পড়বে না : অর্থসচিব
বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রাজস্ব বাড়লে ব্যাংক ঋণের ওপরে চাপ পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। তিনি বলেছেন, “আমরা এনবিআরের সক্ষমতা বাড়াচ্ছি। তাছাড়া এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তী বৈদেশিক ঋণের চাপ কমাতে আমরা অভ্যন্তরীণ উৎসের দিকে আছি।”

শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে সরকার ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হলেও ব্যাংক খাতে এর প্রভাব পড়বে না। ব্যাংকের তারল্যের সঙ্গে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যের কোনো সম্পর্ক নেই।”

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এতে নিট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

আর অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি, যার ৭২ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এবং ৬৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদি ঋণ। ব্যাংকবহির্ভূত ঋণ নেওয়া হবে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এবার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আর কর ব্যতীত প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।

Link copied!