বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘কারফিউ’ জারি করেছে সরকার। রোববার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে চলছে এ কারফিউ। এদিন দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হলো।
এছাড়া রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশে চলমান সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পুনরায় অবনতি হওয়ায় রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের আলোকে তার প্রতিশ্রুত দায়িত্ব পালন করবে। এ ব্যাপারে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
অন্যদিকে, কারফিউ চলাকালে ‘বিশেষ ও জরুরি প্রয়োজন’ ছাড়া কেউ বাইরে বের হলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
হাবিবুর রহমান বলেন, “গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জামায়াত, শিবির ও বিএনপির নাশকতাকারীরা রাস্তায় নেমেছে। তাদের দমাতে যেভাবেই আইন প্রয়োগ করলে হবে, সেভাবেই করা হবে।”
এদিকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে একদিন এগিয়ে সোমবার (৫ আগস্ট) ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দুপুর ২টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জমায়েত হবে আন্দোলনকারীরা। এজন্য সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়করা।