সম্প্রতি ভারত থেকে এসেছে প্রায় আড়াই লাখ ডিম। তবে তাতে ডিমের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। সপ্তাহ ঘুরে ডজনে বেড়েছে পাঁচ টাকা। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। তবে মাছ-মাংস-সবজির দামে এখনো রয়েছে অপরিবর্তিত। দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতারা কোনোরকম মন্তব্য না করলেও ক্রেতাদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া।
মোহাম্মদ সুমন নামের এক ক্রেতা বলেন, “গরিবের খাদ্য হিসেবে খ্যাত ডিমই যদি এত দাম বাড়ে তাহলে গরিবরা খাবে কি? আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন হিমশিম খাচ্ছে নিম্নবিত্তদের কথা নাই বললাম। আশা করেছিলাম সরকার পরিবর্তনের ফলে স্থিতিশীলতা আসবে। কিন্তু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল।”
শাহজাহান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “নিত্যপণ্যের বাজার যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে বিপাকে পড়বে সাধারণ জনগণ। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হলে আবারও সব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।”
তবে খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। আমাদের দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে বলেই দাম বেশি রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, করলা ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, সিম ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, রসুন ২০০, পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ২৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি শুকনা মরিচ ৩৮০ টাকা, হলুদ ৩৪০ ও জিরা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিকেজি আটাশ চাল ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৭৪, নাজিরশাইল ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, এক কেজি বা তার কম বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি কাচকি মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০, শরপুঁটি ২০০, পাঙাশ ২০০, সামুদ্রিক লইট্টা মাছ ২০০ টাকা, বড় রুই মাছ ৪০০-৪৫০, মেনি মাছ ২০০ টাকা, খইলশা মাছ ২০০, নলা মাছ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং চিংড়ি মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।