• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আমদানির খবরে কমেছে আলুর দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৬:২৫ পিএম
আমদানির খবরে কমেছে আলুর দাম
আমদানির খবরে কমেছে আলুর দাম

দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পণ্যটি আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আর এই খবরেই রাজধানীতে এক দিনের ব্যবধানে আলুর দাম কমেছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা।

তথ্য বলছে, রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ভারত থেকে ৪৯৮ টন আলু আমদানি হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১৩০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৪০ মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৯২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭০ টন আলু আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় আমদানি হয়েছিল ৭৫ হাজার ৬৫৯ টন।

সরবরাহ বাড়লে আলুর কেজি ২৫ টাকায় নেমে আসবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, আলুর বাজার নির্ভর করে মূলত সরবরাহের ওপর। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আর সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে এটাই স্বাভাবিক। এখন আলুর মৌসুম। মোটামুটি সব অঞ্চলে ক্ষেত থেকে আলু উঠতে শুরু করেছে। যার কারণে গত কয়েকদিন ধরে বাজারে সরবরাহ যেমন বাড়ছিল তেমনি দাম কমে আসছিল।

রহমান নামের এক আলু ব্যবসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এখন আলুর পুরোপুরি মৌসুম। নতুন করে ভারত থেকে আলু আমদানি করা হচ্ছে। দাম এখন যা আছে তার থেকে আরও কমবে। মাঝেমধ্যে আলুর দাম যে বাড়ে তাতে আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই। বড় বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ায়, আর দোষ হয় আমাদের।”

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আলুর দাম কমে যাওয়ায় আমাদের লাভের অংশ ছোট হয়ে গেছে। তবুও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে ছোট লাভেই চলতে হবে। দাম কম হলে বেচাকেনাও বেশি হয়, সাধারণ মানুষ অভিযোগও করে না।”

রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দুই-চারদিন আগেও পাইকারি পর্যায়ে যে আলু কেজিতে ৪০-৪২ টাকা বিক্রি হয়েছে, সে আলু এখন ৩০-৩২ টাকা। আবার কেউ ৩৩ টাকাও বিক্রি করছেন। তবে খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম এখনও ৪০ টাকার ওপরেই আছে।

কারওয়ান বাজারে পাঁচ কেজি আলু কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. শহিদুল হক। আলুর দাম কম দেখে আরও পাঁচ কেজি বেশি কিনতে চেয়েছিলেন। তবে আলু বেশিদিন ভালো থাকবে কি-না এই সন্দেহ পাঁচ কেজি আলুতেই থেমে গেলেন তিনি।

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলে মো. শহিদুল হক বলেন, “আলুর সিন্ডিকেট বড় সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব ব্যাপার। কারণ, বড় বড় ব্যবসায়ীদের হাত অনেক ওপর মহল পর্যন্ত শক্ত। এজন্যই বাজারে শান্তি ফিরে আসে না।”

তিনি আরও বলেন, “আলুর কেজি এখন পাইকারি পর্যায়ে ৩২ টাকা। যা সহনীয় পর্যায় বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। তবে এই সহনীয় দাম কতদিন থাকবে, সেই প্রশ্নই আমাদের। আমরা চাই বাজার ব্যবস্থা সরকার কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রণ করুক। অন্তত সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে হলেও করুক। আর যারা সিন্ডিকেট করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি যেন হয় এই চাওয়া আমাদের।”

Link copied!