রাজধানীর ধোলাইখাল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে নিপুণের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিসুর রহমান।
শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ধোলাইখালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সূত্রাপুর থানার এসআই নাসির উদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ২৪ নেতাকর্মীকে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০/৪০০ জনকে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার ধোলাইখাল গোয়ালঘাট নাসির উদ্দিন সর্দার লেনের মনসুর মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন এবং যানচলাচলসহ সাধারণ জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে থাকেন।
এসময় বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর রায় চৌধুরী, নিপুণ রায় চৌধুরী ও ইশরাক হোসেনদের অনুমতিবিহীন অবস্থান কর্মসূচি পালন থেকে বিরত থাকার জন্য বারবার অনুরোধ করে পুলিশ। নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার সময় নিপুণ রায় চৌধুরীর নির্দেশে এজাহারনামীয় ও পলাতক আসামিসহ আশপাশ থেকে আসা অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। তখন পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু অবস্থান কর্মসূচিতে থাকা বিশৃঙ্খলাকারী আসামিরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেলসহ সঙ্গে নিয়ে আসা প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেন।
একপর্যায়ে সূত্রাপুর থানায় কর্মরত এসআই মো. নাহিদুল ইসলামের ওপর প্লাস্টিকের শক্ত পাইপ, কাঠের লাঠি ও ইট-পাটকেল এলোপাতাড়িভাবে নিক্ষেপ করায় হেলমেট খুলে যায় এবং মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। সরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার্থে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা এপিসিসহ ঘটনাস্থলে থাকা আসামিদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন।