বাংলাদেশকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি দিতে সম্মত হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তৃতীয় কিস্তির পরিমাণ হবে ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার। মোট প্রতিশ্রুত ৪৭০ কোটি ডলারের মধ্যে এর আগে দুই কিস্তিতে প্রায় ১০৬ কোটি ডলার ছাড় করেছে আইএমএফ। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা বিশেষত বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে সরকার আইএমএফের ঋণ নিচ্ছে।
বুধবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটির ঢাকা সফররত মিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি থেকে ৯৩ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় ২২ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার বিষয়ে কর্মকর্তা পর্যায়ে তারা একমত হয়েছেন। আইএমএফের এ বিবৃতির আগে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাজারভিত্তিক করা, টাকার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে নতুন পদ্ধতি চালু করা এবং নীতি সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এসব বিষয় আইএমএফের শর্তের মধ্যে ছিল।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল ঢাকায় আসে আইএমএফ মিশন। বুধবার পর্যন্ত তারা সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করেছে।
মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর বিবৃতিতে বলা হয়, আইএমএফ টিম বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঋণের দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষ করতে প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণের বিষয়ে একমত হয়েছে। কর্মকর্তা পর্যায়ের এই সমঝোতা আইএমএফের পর্ষদে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হবে।