• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

সাকলায়েনকে চাকরিচ্যুতির প্রকৃত কারণ জানালেন আইজিপি


খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
সাকলায়েনকে চাকরিচ্যুতির প্রকৃত কারণ জানালেন আইজিপি
চিত্রনায়িকা পরীমনির সঙ্গে কেক কাটছেন গোলাম সাকলায়েন। ছবি : প্রতিনিধি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েনকে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, “যে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে। যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।”

বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “জনগণের কল্যাণে কাজ করে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের ইউনিট প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিটিয়ে থাকে। পুলিশের থানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো তালা লাগানো থাকে না, সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি।”

আইজিপি বলেন, “দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে আসছি। এক সময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসের জনপদ ছিল। প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। সেই নীতির আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করছি। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে ভিন্নমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। ছবি : সংগৃহীত

সুন্দরবনের বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সুন্দরবনে কখনো শান্ত ছিল না, দস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে ‘জলদস্যুমুক্ত’ সুন্দরবন ঘোষণা করেছেন। এক সময় খুলনার জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় আমরা সেই সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। খুলনা এখন শান্তির নগরী।”

পুলিশ নিয়ে সংবাদ প্রকাশে ‘সতর্ক’ হতে বলে সম্প্রতি চিঠি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এ নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আইজিপি বলেন, “পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে, আশা করি বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়েই নিরসন হবে। পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।” 

Link copied!