পবিত্র রমজানের প্রথম দিনেই জমে উঠেছে রাজধানীর চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার ইফতার বাজার। প্রতিবারের মতো এবারও চকবাজারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ নামের একটি বিশেষ খাবার।
রোববার (২ মার্চ) রাজধানীর চকবাজারে গিয়ে এমন তথ্য জানা যায়। এদিন দুপুরের পর থেকেই ইফতার সামগ্রী নিয়ে অলি-গলিতে দোকান খুলতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতা বাড়তে শুরু করে বিকেল থেকে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রচলিত ইফতারির পাশাপাশি নানান স্বাদের বাহারি আয়োজন সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
চকবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙা ভইরা লইয়া যায়’ কিনতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন ক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ৬৮ বছর আগে ১৯৪৫ সালে শাহী জামে মসজিদ চত্বরে বাণিজ্যকভাবে এ খাবার বিক্রি শুরু করেন এক ব্যক্তি। সেই খাবারটি এখন পুরান ঢাকাসহ গোটা রাজধানীতে একটি আকর্ষণীয় ইফতারির আইটেম হিসেবে পরিচিত। বিশেষ এই খাবার তৈরিতে মাংস, সুতি কাবাব, মাংসের কিমা, ডাবলি, বুটের ডাল, ডিম, মগজ, আলু, ঘি, কাঁচা ও শুকনো মরিচসহ নানা পদের খাবার আইটেম এবং হরেক ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা দরে এটি বিক্রি হচ্ছে।
চকবাজারসহ রাজধানীর বেইলি রোডেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। এখানে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে নবাবী শাহী হালিম, ঘি ও জাফরানে ভাজা নবাবী স্পেশাল শাহী জিলাপি, নবাবী জর্দা, নবাবী ক্ষিরসা ফালুদা, নবাবী জাফরানি পেস্তা বাদাম শরবত, নবাবী বোরহানিসহ নানা আইটেম।
সাদ্দাম নামের এক ক্রেতা বলেন, “বেইলি রোডে ইফতারের দাম একটু বেশি। প্রথম রোজা তাই ইফতারে আইটেম একটু বেশি করতে এখানে এসেছি।”
রাজধানীর অলি-গলি, রাস্তার পাশের ইফতার সামগ্রী থেকে রেস্তোরাঁর ইফতার সামগ্রীর দামের পার্থক্য পিসপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। আর যেসব সামগ্রী কেজি আকারে বিক্রি হচ্ছে সেখানে দামের পার্থক্য ১০ থেকে ২০ টাকা করে।
নুরুল আলম নামের এক বিক্রেতা বলেন, “প্রতি পিস ডিম চপ ৩০ টাকা, ভেজিটেবল টোস ৪০ টাকা, চিকেন টোস ৫০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ৪০ টাকা, চিকেন রোল ৫০ টাকা। এছাড়া সবধরনের টিক্কা বিক্রি হচ্ছে পিসপ্রতি ৫০ টাকা করে।”