দিনভর রোজা রেখে ইফতারিতে তেলেভাজা বেগুনি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বুন্দিয়া, জিলাপির মতো মুখরোচক খাদ্যগ্রহণ দেশে সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। পাড়া-মহল্লার হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে তৈরি ভাজাপোড়ার মচমচে আইটেম অধিকাংশ মানুষের ইফতারির অংশ হয়ে উঠছে। বাহারি পদের এসব খাবারের বেশিরভাগই অতিরিক্ত তেলে ভাজা থাকে। এসব খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তোয়াক্কা নেই সাধারণ মানুষের।
কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, দুপুর হলেই বাহারি পদের খাবারের পসরা নিয়ে বসেন দোকানিরা। বিকেল হলেই ইফতার সামগ্রী কিনতে এসব দোকানে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে আলুর চপ ১০ টাকা, ব্গেুনি ১০ টাকা, পেঁয়াজু ১০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়াও চিনির জিলাপি কেজি প্রতি ৩৮০ টাকা, গুড়ের জিলাপি ৩৫০ টাকা, হালিম বাটি প্রতি ১৪০ টাকা থেকে শুরু করে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে।
গতবারের চেয়ে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। খাবারের মান কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়েও তাদের প্রশ্ন রয়েছে।
আবুল কালাম নামের এক ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গতবারের চেয়ে এবার জিলাপির দাম অনেক বেশি। কেন বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা তা সঠিক বলতে পারছি না। তবে চিনির বা গুড়ের যে দেশে সংকট আছে, এমন খবর আমরা দেখেনি।”
আবুল কালাম আরও বলেন, “ফুটপাতে তৈরি এসব খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন থাকে। কিন্তু কি আর করার ইফতারের প্রধান খাবারগুলোর মধ্যেই কিন্তু এসব খাবার থাকে। সে হিসেবে এসব খাবার ছাড়া আবার ইফতারও হয় না।”
নিত্যপণ্যের চলমান ঊর্ধ্বগতিতে সবকিছুর দাম বাড়লেও খাবারে মান স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা ব্যবসায়ীদের। এছাড়াও খাবারের সাইজ আগের মতোই রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
জলিল নামের এক ইফতার সামগ্রী বিক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “নিত্যপণ্যের চলমান ঊর্ধ্বগতিতে আমরা ব্যবসা বিক্রি ও লাভের সমন্বয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছি। যে পরিমাণ সবকিছুর দাম বেড়েছে সেভাবে খাবারের দাম বাড়ালে বিক্রি কমে যাবে। তাই বিক্রি ও লাভ দুটোই যেন সমন্বয় হয় সে চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
জলিল আরও বলেন, “ভাজাপোড়া খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আমাদের খাবার অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। আমরা হোটেলে তৈরি করে সড়কে নিয়ে বসি। তাই খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা বোকামো। যদি কখনো কোনো ক্রেতা এসে বলে আমাদের খাবারের মান খারাপ, তাহলে আমরা স্বেচ্ছায় তাকে পুরস্কার দেবো।”