দুর্নীতির ব্যাপারে পুলিশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেছেন, “পুলিশের মধ্যে কোনো গ্রুপিং থাকলে আমাকে তথ্য দিন, আমি খতিয়ে দেখব।”
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের মধ্যে বিশেষ কিছু জেলার নামে বিভিন্ন গ্রুপের নাম শোনা যায়, এই গ্রুপিংয়ের কারণে পুলিশিংয়ে ক্ষতি হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, “কোনো গ্রুপিংয়ের কথা আমার জানা নেই। কারও কাছে এমন তথ্য থাকলে আমাকে দিন। আমরা খতিয়ে দেখব।”
পুলিশ সব সময় পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে জানিয়ে আইজিপি বলেন, “নির্বাচনের সময় পুলিশ নির্বাচন কমিশনের দেওয়া দায়িত্ব পালন করে। যদি কারও কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে (রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ার) তাহলে আমাকে জানাবেন।”
তিনি বলেন, “পুলিশ মিছিলসহ কর্মসূচিগুলোতে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে। পুলিশের এ বিষয়ে ট্রেনিং রয়েছে, প্রতিক্ষেত্রে তা ফলো করা হয়।”
আইজিপি বলেন, “জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার ও জনগণের কথা শুনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে বাংলাদেশ পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ।”
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে আইজিপির পদ থেকে ড. বেনজীর আহমেদকে অবসরে পাঠানো হয়। একই দিন আরেক প্রজ্ঞাপনে র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পুলিশপ্রধানের দায়িত্ব দেয় সরকার। আর র্যাব প্রধানের দায়িত্ব পান অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।