খাবার মানসম্মত না হলে প্রয়োজনে ট্রেনের ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের চুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেছেন, “ট্রেনে ক্যাটারিং সার্ভিসের চুক্তি অনুযায়ী মান সম্মত খাবার প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। খাবার মানসম্মত না হলে সংশ্লিষ্ট ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলওয়ের চুক্তি বাতিল করা হবে। যাত্রীদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।”
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাটারিং সার্ভিসের সেবার মান এবং সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুল হাকিম বলেন, “বর্তমান বাজারের মূল্য অনুযায়ী খাবার দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো বাসি রুটি ও গন্ধযুক্ত খাবার পরিবেশন করছে। যারা ক্যাটারিং পরিচালনা করেন তাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে, খাবারের মান ভালো করতে হবে। খাবারের মান খারাপ হলে বদনাম ক্যাটারিং সার্ভিস প্রতিষ্ঠানের হয় না, হয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের, রেলমন্ত্রীর।”
খাবারের মান স্বাস্থ্যসম্মত করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়মিত মনিটরিং করার নির্দেশ দেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে খাবার মানসম্মত হবে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পাবে এবং টিকিট কালোবাজারি বন্ধ হবে। ট্রেনে হকারদের উৎপাত বন্ধ করতে হবে, হকারদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
জিল্লুল হাকিম বলেন, “ট্রেনে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি করতে হবে। যাত্রীদের অভিযোগ ট্রেন অপরিষ্কার এবং অনেক সময় বাথরুম ব্যবহার অযোগ্য অবস্থায় থাকে, যা মেনে নেওয়া যায় না।”
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধিতে পরিদর্শন বাড়ানোসহ নিয়োজিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের মনিটরিং করার নির্দেশ দেন রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রেলে যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের হাওয়া খেলে চলবে না, কাজ করতে হবে। ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে বদনাম হলে সে বদনাম মন্ত্রীর হয় এবং প্রধানমন্ত্রীকেও সে বদনামের ভাগীদার হতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর বদনাম হয় এমন কাজ সহ্য করা হবে না।”