বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের রোশের মুখে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর থেকে ছাত্র আন্দোলনের হামলার অভিযোগে একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার হতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আতঙ্কে দেশ ছেড়েছেন, অনেকে আবার দিয়েছেন গা ঢাকা।
দেশের এমন পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা কর্মসূচি ও দিকনির্দেশনা পেতে শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনালাপের একাধিক অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি শেখ হাসিনার আরও একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনার সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের কথপকথন হয়। সেই ফোনালাপের অডিও রেকর্ডটি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের ভেরিভায়েড ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে।
ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জামায়ত ইসলামকে হুমকি দিতে শোনা যায়।
অডিও রেকর্ডে শেখ হাসিনা বলেন, “এক মাঘে শীত যায় না। ১৫ বছর দেশ চালাইছি, বেতন ভাতা বাড়াইছি, রেশন বাড়াইছি, এই পুলিশের সবকিছু করে দিছি। আর্মিদের করে দিছি। এই পর্যন্ত যে কজন সব আমার জন্য পাওয়া। আর এখন সুদখোর ইউনূসের কথা শুনে লাফাচ্ছে। আর ওইটা জামায়াতের ওরা কয়দিন আছে।”
তিনি বলেন, “সামনে একমাস টেকে কি না দেখো। আর তখনই আপনারা যারা বেশি বাড়াবাড়ি করেন তারা কোথায় যাবেন সেইটা বুঝে নিয়েন। আর এই তালিকা সব করে রাখো। আর যারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর, পোড়ানো তাদেরকে ও হিসাবটা, নাম রাখো। এবার যেন ভুল না হয়। পরের বার এর চাচা, ওর মামা, ওর শশুর, ওর শাশুড়ি এই ভুল যেন না হয়। এবার গুনে গুনে হিসাব নেওয়া হবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি ২০০৯ এ সরকারে এসেও আমি ওই সময় কাউকে কিছু বলিনি। আমি দেশের উন্নয়ন করছি। আল্লাহ এরপরে যদি সুযোগ দেয় তার আগে যারা আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দিছে, কোপায়ে কোপায়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মারতেছে, প্রত্যেকের এক একটা শিক্ষা আমি দিয়ে ছাড়ব।”