কেউ কোনো কারসাজি করে বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, আমরা জনস্বার্থে কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে কাজ দিয়েছেন। সেটি আমি সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। ভোক্তাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আমাকে একটু সময় দেন।”
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য করতে চাই। যাতে তা সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। আমরা এ বছরের শুরু থেকে স্মার্ট বাজার সিস্টেম চালু করতে চাই। যাতে উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা, আমদানিকারক থেকে ভোক্তা- এরমধ্যে যেন কোনো হস্তক্ষেপ না থাকে। আপনারা জানেন, অনেক পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়। আমাদের শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এটির নিশ্চয়তা দিতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “বাজারে উৎপাদক ও আমদানিকারক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে যারা কোনো রকমের হস্তক্ষেপ করবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা কৃত্রিম সংকট, মজুতদারি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যারা ভালোভাবে ব্যবসা করবে তাদের সহযোগিতা করব। তাদের আস্থায় নিয়ে কাজ করতে চাই।”
ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে হয় উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমাদের সুবিধামতো পেঁয়াজ থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় যেসব পণ্য ভারত থেকে আসে, সেগুলো আমদানি একটু সহজ করা হবে বলে আশা করছি। একই সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাব।”
এক কোটি পরিবারকে কবে নাগাদ স্মার্ট কার্ড দেওয়া যাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) যে এক কোটি পরিবার রয়েছে, তাদের তথ্য নিয়েছি, সেটি যাচাই বাছাই চলছে। যেগুলো যাচাই বাছাই হয়ে গেছে, সেগুলোর কার্ড ইস্যু করা হচ্ছে। আশা করছি, জুনের মধ্যে কার্ড দিতে পারব। তার জন্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে না। এখন যে তালিকা আছে সেটি ধরেই দেব। এটি হলে ডিজিটাল যে ব্যবস্থা হবে, তখন সবাই হাতে হাতে পাবে।”
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি সিন্ডিকেট শব্দের সঙ্গে অভ্যস্ত না। দেশে কোনো সিন্ডিকেট থাকতে পারবে না। আমি পুঁজিবাজার নিয়ে কাজ করেছি। তখন কোনো সিন্ডিকেট, মজুতদার কোনো কারসাজি করতে পারে নাই। এখানেও আমরা সফল হবো।
ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে কাজ করতে হবে। আমাদের যথেষ্ট সুযোগ আছে, তাদেরকে অনুরোধ করব, তাদের নিয়ে বসব। আমরা তাদের বলব স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার সঙ্গে ব্যবসা করলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। কিন্তু কোনো রকম কারসাজি করে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করলে আমরা শক্তহাতে ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, আমরা জনস্বার্থে কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে কাজ দিয়েছেন। সেটি আমি সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব। ভোক্তাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আমাকে একটু সময় দেন।”