ক্ষমতাসীন সরকার পতন আন্দোলনের দফাগুলোর বিষয় নির্ধারণ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “অবৈধ সরকার অপসারণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে যে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সে অনুযায়ী প্রথম দফায় সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছি।”
সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের আলোচনার মূল বিষয় আন্দোলনের দাবি নির্ধারণ করা। এছাড়া আমাদের দাবিগুলো হচ্ছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি, প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।”
আন্দোলনের নেতৃত্বে কারা থাকবে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, “চলমান আন্দোলনের নেতৃত্বে সবাই থাকবে। আগেও ঘোষণা করেছি, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, তার অবর্তমানে তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আমরা একমত হয়েছি, গণ-আন্দোলনের দাবিগুলো নিয়ে সামনের দিকে ঐক্যবদ্ধ যুগপথ আন্দোলন শুরু করব।”
জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “কী দাবিতে আন্দোলন করব, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিক, কৃষকের দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন হবে। তবে মূল যে দাবিতে আন্দোলন হবে তা হচ্ছে এ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন।”
সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলটির স্থায়ী কমিটির নজরুল ইসলাম খান। আর জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, মাওলানা রুহুল আমীন, মো. সেলিম মাস্টার, ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ খান বাবলু, যুগ্ম মহাসচিব এ এস এম শামীম প্রমুখ।
