মো. রফিক শেখ। রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ীর পাঁচ নম্বর ব্রিজের পাশে থাকেন। স্ত্রী ও এক সন্তানসহ তিন সদস্যের পরিবার তাদের। অভাবের সংসারে স্বাবলম্বী হতে কুড়িগ্রাম থেকে পাড়ি জমিয়েছেন রাজধানী ঢাকায়।
এখন কর্মরত আছেন দিয়াবাড়ীর একটি নার্সারিতে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কাজ করে উপার্জন করেন ৫৫০ টাকা। মাস শেষে বেতন পান ১৬ হাজার ৫০০ টাকা। অভাবের সংসারে এই উপার্জন দিয়ে চলতে কষ্ট হলেও দিন পারছেন করছেন তিনি।
সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে আলাপকালে মো. রফিক শেখ বলেন, “আমি নার্সারিতে কাজ করি। সকালে আসি বিকেলে বাসায় যাই। সারাদিন ছোট ব্যাগে মাটি ভরে সাজিয়ে রাখি। কাস্টমার আসলে গাছ বিক্রি করি। আবার নার্সারির গাড়িতে গাছ, ব্যাগ ভর্তি মাটিও তুলে দেই।”
তিনি বলেন, “সারাদিন কাজ করে ৫৫০ টাকা পাই। এই টাকা দিয়ে আমার সংসার চালাতে কষ্ট হয়। এ কারণে আমার স্ত্রীও নার্সারিতে কাজ করে। দুজনে মিলে যা উপার্জন করি তা দিয়ে কোনোমতো সংসার চালাই। এখন নিত্যপণ্যের বাজার চড়া- সব জিনিসের দাম বেশি। মন চাইলেও ভালো কিছু খেতে পারি না। বাড়ি ভাড়া, সন্তানকে পড়ানো, খাওয়া খরচসহ আরও অনেক খরচ আছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে মো. রফিক শেখ বলেন, “গ্রামের বাড়ি রংপুরে। সন্তানদের ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার জন্যই ঢাকায় আসছি। যদি কিছু না করতে পারি, তাহলে মরেও শান্তি পাবো না। গরিব মানুষ আমরা। কাজকর্ম করেই তো চলতে হবে। ঢাকা শহরে কাজ না করলে কেউ ভাত দিবে না। দৈনিক কাজ করে আমরা স্বামী-স্ত্রী যা পাই, তা দিয়ে দিন চলে যায় কোনোভাবে।”