১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “১৯৭৭ সালে একজন সেনা অফিসার কিংবা বিমান বাহিনীর অফিসার ঘুমিয়ে আছে, তাকে হঠাৎ ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে জেল, ফাঁসি দেওয়া হয়। আবার নামের মিল থাকায় একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে ফাঁসি কার্যকর হয়েছে কিন্তু কোর্ট বসেছে পরে। এভাবে জিয়াউর রহমান বর্বরতা চালিয়েছেন।”
বুধবার (১২ জুলাই) ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ ও ১৯৭৭ সালে সামরিক জান্তার হাতে নির্যাতিতদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’ আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মানববন্ধনে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, বোমা হামলা করা হয়েছিল। এই নির্মমতার জন্য দায়ী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুলসহ আজ যারা বড় বড় কথা বলেন। আজ বিকেলে যারা সমাবেশ করবে তারা সবাই হুকুমদাতা ও নির্মমতার জন্য দায়ী।”
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমার বামপাশে জিয়াউর রহমানের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন আর ডানপাশে বিএনপি নেতাদের নির্মমতার যারা শিকার তারা দাঁড়িয়েছেন। আজ তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। ইনশাল্লাহ তাদের বিচার হবে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “যারা মানবাধিকারের কথা বলে, যারা মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয় তাদেরকে বলব এসে দেখে যান। এদের বক্তব্য শুনুন, আর্তনাদ শুনুন। আগে এদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে তাহলেই সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।”
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রমুখ।