পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ (দারা) বলেছেন, “দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষকে দক্ষতার ভিত্তিতে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিশেষত পল্লী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই।”
বুধবার (২৬ জুন) পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কর্তৃক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত পণ্যভিত্তিক জীবিকায়ন পল্লী গঠন ও প্রসারের লক্ষ্যে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে পল্লীর আধুনিকায়ন জরুরি। এজন্য সমাজের তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। নেতৃত্ব দিতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারলেই কেবল আধুনিকায়ন সম্ভব। এজন্য সরকারের সদিচ্ছার কোনো কমতি নেই। সরকারের তরফ থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, যার অধিকাংশই নারী। ‘এক পল্লী এক জনপদ’ অথবা ‘পল্লী জনপদের’ মতো আরও নতুন নতুন পল্লীকেন্দ্রিক প্রকল্পের দিকে আমাদের অগ্রসর হওয়া উচিত।”
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আজকের শিশু-কিশোররাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই আমরা দেশের বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে যদি কারিগরি ও পেশাগতভাবে দক্ষ করে তুলতে পারি, তবেই তারা দেশের জন্য বোঝা না হয়ে আশীর্বাদ বয়ে আনবে। এজন্য আমাদের বহু উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। ঠিক যেভাবে নয়াচীনের অবিসংবাদী নেতা মাও সে তুং তার দেশের তরুণদের নিয়ে কর্মবিপ্লব গড়ে তুলেছিলেন।”
আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “পল্লী এলাকার উর্বর মাটি, নির্মল বায়ু এবং স্নিগ্ধ জল কাজে লাগিয়ে আজ চীনের উন্নয়ন লেখচিত্র ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর আমাদের মাটি তো আরও বেশি উর্বর।”
আব্দুল ওয়াদুদ আরও বলেন, “আমাদের আরেকটা বড় সম্পদ আছে তা হলো, সাহস। এজন্যই তো বঙ্গবন্ধুর হাতে সৃষ্টি প্রথম পাঁচশালা কর্মসূচি থেকে যাত্রা করে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ।”
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন এবং সভাপতিত্ব করেন বিআরডিবির মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আ. গাফফার খান।