এলডিসি উত্তরণে মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, “বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও পূর্বাভাস প্রদানের ক্ষেত্রে বিরোধ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এলডিসি উত্তরণের পরিবর্তনে আমাদের ব্যবসায়িক সংগঠন এবং মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।”
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিরোধ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত জাতীয় কর্মশালার’ উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি থেকে উত্তীর্ণ হতে চলেছে, যা আমাদের অর্থনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই পরিবর্তনটি প্রচুর সুযোগ তৈরি করবে। এ জন্য আমাদের ব্যবসায়িক সংগঠন এবং মানবসম্পদের সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যতই এগিয়ে যাব, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক আলোচনায় জড়িত হবে। এ ছাড়া ইইউ, এসএএসইসি এবং আসিয়ানের মতো আঞ্চলিক ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।”
শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, “তিন দিনের কর্মশালা ডব্লিউটিওর নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের বোধগম্যতা বৃদ্ধি করবে এবং তাদের কাজে এই অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করার সক্ষমতা উন্নত করবে।”
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক জর্জ ক্যাস্ট্রো এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. নাজনীন কাওসার চৌধুরী বক্তব্য দেন।
তিন দিনব্যাপী কর্মশালায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা নেবেন।