‘উন্নয়নের নামে প্রহসন ও ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা চাই না’ এ স্লোগানে রাজধানীর ডেমরায় বসতবাড়ির সম্পত্তি রক্ষা করতে ডিএসসিসির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে ডেমরা—রামপুরা সড়কের দুই পাশে ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ মানববন্ধন করেন তারা।
ডিএসসিসির ৬৯নং ওয়ার্ডের আমুলিয়া—রাজাখালি প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক বিনা অধিগ্রহণে বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে ১৪/১৭ ফিট থেকে ৪৮ ফিট প্রশস্ত করার প্রতিবাদে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজাখালি এলাকার হাজারো নারী—পুরুষ ও শিশু—বয়স্করা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “আমুলিয়া—রাজাখালি সড়কটি ৪৮ ফিটে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। এক্ষেত্রে ওই সড়কের দুই পাশের বসতবাড়ি থেকে বিনা অধিগ্রহণে অতিরিক্ত ৩০—৩২ ফিট জায়গা নিতে চাচ্ছে ওই কর্তৃপক্ষ। এদিকে ড্যাপের প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী, ৪৮ ফিট এ সড়কটির জন্য গত ১৫ জানুয়ারি ডিএসসিসি থেকে টেন্ডারও হয়েছে। আর নকশা অনুযায়ী সড়কের উত্তরপাশের অতিরিক্ত জায়গা অধিগ্রহণের মাধ্যমে নিয়ে সড়ক উন্নয়নের কথা থাকলেও তা মানছে না ডিএসসিসি। এক্ষেত্রে ডিএসসিসি গত ৯ মে সড়কটির দুই পাশের ভিটেবাড়ির জায়গা লাল কালি দিয়ে ৪৮ ফিট রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করেছেন ড্যাপের নকশা বহির্ভূত।
বক্তারা আরও বলেন, “আমরা বারবার মেয়রের কাছে লিখিত বা মৌখিক আবেদন করেও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তিনি যেন এ রাস্তা সংলগ্ন ১২৫ পরিবারের ভিটেমাটি রক্ষা করেন, অন্যথায় নিয়ম অনুযায়ী, ন্যায্যমূল্যে অধিগ্রহণের মাধ্যমে জায়গা নিয়ে সড়ক উন্নয়ন করেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস গত ২৭ জুন এলাকাবাসীর সঙ্গে সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, “সবদিক বিবেচনা করেই আমুলিয়া—রাজাখালি সড়ক উন্নয়নের কাজ করা হবে। এক্ষেত্রে কিছু লোককে মানবিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে রাস্তার জন্য বসতবাড়ি বা অন্য যেকোনো জায়গা অধিগ্রহণের এখতিয়ার ডিএসসিসির নেই। এক্ষেত্রে ডিএসসিসির সম্পদ বলে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে ভরা ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়কের উন্নয়ন করা হবে পরিকল্পিতভাবে।”