সোমবার (১৭ জুন) ঈদুল আজহা। এদিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, এমন প্রশ্নে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তিনটি ভিন্ন অবস্থার কথা বলছেন। ওই দিন তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আবার কোনো কোনো স্থানে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও আছে। এর পাশাপাশি দু-এক বিভাগে মেঘলা আকাশ এবং সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
সব মিলিয়ে কথা হলো, দেশজুড়ে টানা বা ভারী বৃষ্টি হবে, সেই সম্ভাবনা আসলে তেমন নেই। দেশের বড় অংশজুড়ে ওই দিন ভ্যাপসা গরমের ভাবটা থাকতে পারে। এর কারণ হলো, বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি। তাই তাপমাত্রা হয়তো খুব বেশি না থাকলেও অস্বস্তি চরমে উঠতে পারে। রোববারও (১৬ জুন) দেশের একটি বড় অংশজুড়ে তাপমাত্রা বাড়তি, আছে অস্বস্তিও।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, ঈদের দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতিতে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমত, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ওই দিন বৃষ্টি হতে পারে। এই তিন বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। এসব এলাকার তাপমাত্রা সহনীয় থাকতে পারে। ঈদের দিন চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী বিভাগে ঈদের দিন তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি থাকতে পারে বলে জানান বজলুর রশীদ। তিনি বলছিলেন, এই তিন বিভাগের কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। খুলনা ও বরিশালে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। কোথাও কোথাও তা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। এ বিভাগের কিছু জায়গায় আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।
খুলনা বিভাগে টানা কয়েক দিন মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার (১৫ জুন) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল খুলনায়, ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বিভাগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০টি স্টেশনের মধ্যে কুমারখালী ও নড়াইল বাদ দিয়ে বাকিগুলোতে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়।
ঈদের দিন তাহলে ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে, এ প্রশ্নে বজলুর রশীদ বলেন, ঢাকার আকাশ ওই দিন মেঘলা থাকতে পারে। আর বিকেলের দিকে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ঢাকায় ঈদের দিন বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাবে না বলেই মনে হয়।