ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের আগে ও পরে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে চলে গেছেন। তেমনই দুজন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
৫ আগস্টের পর অনেকেই ভেবেছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠনের শীর্ষ দুই নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পর দেশেই আত্মগোপনে ছিলেন তারা। কয়েক মাস দেশে অবস্থান করার পর ‘সবুজ সংকেত’ পেয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের কলকাতায় চলে যান সাদ্দাম ও ইনান।
আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাদ্দাম ও ইনানকে সঙ্গে নিয়ে যান। তারা তিনজন বাংলাদেশের কোনো একটি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে চলে যান। এরপর সেখানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকে নিয়ে সেখানেই অবস্থান করেন। পরে সুবিধাজনক সময়ে তারা কলকাতায় চলে যান।
কলকাতার অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজারহাট নিউটাউনের মতো অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছেন সাদ্দাম ও ইনান।