বর্তমানে দেশে সরকারি খাদ্য গুদামে ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, “খাদ্যশস্যের এ মজুদ সন্তোষজনক।”
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজী আনারের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে সরকারি খাদ্য গুদামে সর্বমোট ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। মজুদকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন গম।”
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে খাদ্য মজুদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সূত্রে চাল এবং গম অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে; চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমের আওতায় গত বছরের ২৩ নভেম্বর হতে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয় যা মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। পরবর্তীতে এই লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করে ৪ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চালের পরিবর্তে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৬ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ও এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজির আওতায় ইতোমধ্যে ৫ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। সম্পাদিত চুক্তির বিপরীতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৭ মেট্রিক টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তির অবশিষ্ট গমের খালাস কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে বিদেশ থেকে অদ্যাবধি কোনো চাল আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি।”