নির্বাচনের পর সরকার কতদিন টিকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবস, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, “দেশে বর্তমানে রাজনীতি বলে কিছু নেই, রয়েছে অপরাজনীতি। এখানে ক্ষমতার নামে চলছে দখল ও চাঁদাবাজি আর টাকা পাচার। ৫২ বছর আগে দেশের মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল, তার মূলে ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু আজ দুটোর কোনোটিই নেই। আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিক। জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হলে প্রথম আমি অভিনন্দন জানাব। না হলে এবার জুজুর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচনের পর সরকার ৫ দিন টিকবে কি না কেউ বলতে পারেন? ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক না। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টেকে না। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে।”
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, “সরকার মুখে যা বলে কাজে তা করে না। কাজে যা করে তা বলে না। তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক সরকার বলে পরিচয় দেয়। বিএনপিকে বলে সন্ত্রাসী দল। তারা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বারবার বিভ্রান্ত করছে। তারা হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। তবে এভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। ক্ষমতার মোহে অন্ধ হলে পায়ের মাটি কখন সরে যায় টের পাওয়া যায় না।“
বিএনপি এ নেতা আরও বলেন, “এই সরকারের মিথ্যাচার নিজেরাই বিশ্বাস করে না। তারা মনে করছে ক্ষমতায় যেহেতু আছে নির্বাচনের দরকার কী? কোনো সরকার গণতন্ত্রের ভান ধরলে সেই সরকার স্বৈরাচারের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।“
বাংলাদেশের মানুষ কখনোই স্বৈরশাসককে মেনে নেয়নি দাবি করে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, “১৯৭১ সালে কিন্তু দেশের জনগণ পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের দাবিতে জীবন দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল। আমরা আবারও সবাইকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাব।”
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।