গত কয়েকদিন ধরে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই সমস্যা দুই-একদিনের মধ্যে অনেকটা কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, “দেশে গ্যাস এখন বৃহৎ চ্যালেঞ্জ। প্রচণ্ড শীতের কারণে গ্যাসের চাপ কমে যায়।”
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, “জ্বালানির দাম বাড়া কমা নয়, মার্চ থেকে শুরু হবে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়। প্রতি মাসে দাম সমন্বয় হবে। এই দাম সমন্বয়ের বিষয়টি শুরু হবে তেল দিয়ে।”
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “২০২৫ সালের মধ্যে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিতে ৪৬টি গ্যাসকূপ খনন করতে চাই। ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করবে সরকার।”
এলএনজি আমদানি বাড়বে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, “গ্যাস ম্যানেজমেন্টেও মাস্টারপ্ল্যান করা হচ্ছে। বিবিয়ানায় ১ দশমিক ৬ টিসিএফ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শেভরন সেখানে কাজ করছে। আগামী তিন–চার মাসের মধ্যে তেলের বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত ১৩ বিলিয়ন খরচ করতে হয়েছে বলে জানান নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, “সেখান থেকে বেটার অবস্থায় আছি। আশা করা যায়, সামনে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।”
নসরুল হামিদ আরও বলেন, “বিদ্যুতের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। রোজা ও সেচ মওসুমের শুরুতে যে চাহিদা থাকবে, সেটি পূরণের চেষ্টা করা হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস, তেল ও কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে সমস্যা হবে না।”