• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভাইরাল ভিডিওর সূত্র ধরে যেভাবে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় কাফীকে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ১০:১৭ এএম
ভাইরাল ভিডিওর সূত্র ধরে যেভাবে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয় কাফীকে
ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী।ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফীকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে আটক করে। গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর অভিযোগে তাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) তার পালিয়ে যাওয়ার খবর পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দিনভর চেষ্টার পর রাত ১০টার দিকে তাকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। ঢাকা জেলা উত্তরের ওসি (ডিবি) রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সূত্রে আব্দুল্লাহিল কাফির পালিয়ে যাওয়ার খবর পায় ডিবি পুলিশ। এরপর দিনভর নানা নাটকীয়তার পর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করতে সমর্থ হয় ডিবির একটি দল।

কাফীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, তিনি গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে অভিযুক্ত।

গত ৩০ আগস্ট ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় আলোচনায় আসে আব্দুল্লাহিল কাফীর নাম। ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যরা রাস্তা থেকে মৃতদেহ একটা ভ্যানে ছুড়ে ফেলছেন। একপর্যায়ে ভ্যানে স্তূপাকার লাশ একটি প্লাস্টিকের ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেন পুলিশ সদস্যরা। ভ্যানে তোলা এক ব্যক্তির লাশ শনাক্তের মাধ্যমে জানা যায় ঘটনাটি আশুলিয়ার। 

সূত্রটি জানায়, এই ঘটনার সময় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) দায়িত্বে ছিলেন মো. আব্দুল্লাহিল কাফী। পরে এ বিষয়ে কাফীর এক সহকর্মী বক্তব্য দিয়েছেন গণমাধ্যমে। ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মূলত সেদিন আমরা কাফির নির্দেশেই আশুলিয়া সড়কে পথ অবরোধ করে অপারেশন চালাই।”

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মাথায় পুলিশের হেলমেট ও সাদাপোশাকের ওপর পুলিশের ভেস্ট পরা এক ব্যক্তি আরেকজনের সহায়তায় চ্যাংদোলা করে নিথর এক যুবকের দুই হাত ধরে ভ্যানের ওপর তুলছেন। ভ্যানের ওপর আরও কয়েকটি নিথর দেহ স্তূপ করে রাখা। দেহগুলো থেকে ঝরে পড়া রক্তে ভিজে গেছে সড়কের কিছু অংশ। বিছানার চাদরের মতো একটি চাদর দিয়ে তাঁদের ঢেকে রাখা হয়েছে। পাশেই পুলিশের হেলমেট, ভেস্ট পরা আরও কয়েকজনকে দেখা যায়। ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি সাভারের আশুলিয়া থানা-সংলগ্ন এলাকার বলে দাবি করেছেন অনেকে। এএফপির ফ্যাক্ট চেকিং এডিটর কদরুদ্দীন শিশির তার ফেসবুক টাইমলাইনে ঘটনাটি ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার নিকটবর্তী এলাকায় বলে উল্লেখ করেন।

গত ৫ আগস্ট বিপুল জনরোষের মুখে পতন হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের। সরকার পতনের তিন সপ্তাহ পর ভাইরাল হওয়া ভিডিওর সূত্র ধরেই তাকে আটক করা হয়।

Link copied!