• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ধর্মমন্ত্রীর আইফোন যেভাবে উদ্ধার হলো


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
ধর্মমন্ত্রীর আইফোন যেভাবে উদ্ধার হলো

জামালপুরে একটি জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের মোবাইল ফোন চুরি হয়। প্রায় দেড় মাস পর মালয়েশিয়া থেকে আইফোন ব্র্যান্ডের মোবাইলটি উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একই সঙ্গে মোবাইল চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত চোর চক্রের মূল হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

হারুন অর রশীদ বলেন, গত ৩০ এপ্রিল জামালপুর ইসলামপুর মোশাররফগঞ্জে এক ব্যক্তির জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হকের পকেট থেকে মোবাইল ফোনটি (আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স) চুরি যায়। এ ঘটনায় প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর থেকে মন্ত্রীর মোবাইল ফোন উদ্ধারে কাজ শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন (উত্তর)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মালয়েশিয়া থেকে আইফোনটি উদ্ধার করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, ধর্মমন্ত্রীর ফোন চুরির ঘটনায় মোবাইল ফোন চোর চক্রের হোতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চোর চক্রটি ৮০টি গ্রুপে ভাগ হয়ে কাজ করে। ঢাকায় কাজ করা চক্রটি কখনো পকেট মারে, কখনো ছোঁ মেরে মোবাইল নিয়ে যায়, আবার কখনো ছিনতাই করে। আর ঢাকা বাইরে চক্রের সদস্যরা বড় কোনো সমাবেশ, জানাজা বা জনসমাবেশকে টার্গেট করে চুরি করে। চক্রের কোনো সদস্য চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে অন্য সদস্যরা ভুক্তভোগীকে ঘিরে রেখে তাদের সদস্যদের পালাতে সাহায্য করে। ঢাকাসহ সারা দেশে এই চেক্রর ৮০টি গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় গ্রেপ্তার জাকির হোসেন (৪০)।

গ্রেপ্তার অন্য সদস্যরা হলো মাসুদ শরীফ (৪১), মো. জিয়াউল মোল্লা জিয়া (৪৮), রাজিব খান মুন্না (২২), মো. আল আমিন মিয়া (২০), মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহেল (২৭),  মো. রাসেল (৩৮), মো. খোকন আলী (৩৬) ও মো. বিল্লাল হোসেন (৩৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে চোরাই মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

হারুন আরও বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি বা ছিনতাই করে আনা ফোনগুলো জাকিরের কাছে জমা দিত চক্রের সদস্যরা। জাকির দামি মোবাইলগুলো বিদেশে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ভারত ও দুবাইয়ে। বিদেশে পাঠানোর জন্য চোরাই মোবাইল ফোন প্রথমে তারা চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন মার্কেটে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠাতো। পরে সেখান থেকে কুরিয়ারের করে বিভিন্ন দেশে পাচার করা হতো।

Link copied!