ঢাকা-১৭ আসনে চলমান উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৭ জুলাই) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন বলে নির্বাচনে হিরো আলমের প্রধান সমন্বয়ক মো. ইলিয়াস গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম বিকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে তার ওপর হামলা হয়।
ভোটকেন্দ্রে ঢোকার আগে হিলো আলম স্কুলের খেলার মাঠে ভক্তদের সঙ্গে কিছু সেলফি তোলেন। এরপর কয়েকজন তার দিকে আসেন এবং বলেন যে, এটি টিকটক করার জায়গা নয়। এরপর তাকে মারধর করতে থাকে।
এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে উদ্ধার করতে এলেও দুর্বৃত্তরা তাকে ধাওয়া এবং আঘাত করেন। এরপর তাকে ভোটকেন্দ্রের সামনের রাস্তায় মারধর করেন।
একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান। এরপর তাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। এসময় আশপাশে সবাই মারধরের দৃশ্য ভিডিও করলেও তাকে রক্ষায় কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, আমি সারাদিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। বিকেল ৩টা পর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রে কিছু লোক আমার ওপর হামলা চালায়।
এর আগে কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করেন হিরো আলম। তিনি বলেন, “নির্বাচনে ৬০০ এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১২ কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দিয়েছে। সকাল থেকে আমরা নির্বাচন কমিশনে ফোন দিচ্ছি। কিন্তু কোনো ধরনের সহায়তা পাচ্ছি না।”
একতারা প্রতীকের এই প্রার্থী আরও বলেন, “আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা একতরফা ভোট করার চেষ্টা করছে। তা না হলে কেন আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হবে? মহিলা এজেন্টরাও ছাড় পাননি, তাদেরও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ৬০৫টি ভোটকক্ষের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
এ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।