ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দেশের ১৮তম রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
বুধবার (২ অক্টোবর) তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বুধবার সকালে উত্তরা মেডিকেল কলেজ ফর উইমেন অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।”
হাসপাতালটির কার্ডিওলজিস্ট অপর্ণা রহমান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মারুফ বিন হাবিব ও শায়লা চৌধুরীর তত্ত্বাবধায়নে সাবেক এই রাষ্ট্রপতির চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী বলেন, “বাবার আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজ রয়েছে। সকালে তার ফুসফুসে সংক্রমণ (ফুসফুসে পানি জমা) হওয়ায় হসপিটালাইজড করা হয়েছে।”
আগেও একাধিকার অসুস্থ হয়ে পড়ায় এই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৫ বছর বয়সি বদরুদ্দোজা চৌধুরী বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায়ও ভুগছেন বলে তথ্য দিয়েছেন তার চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক থেকে ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের ডাকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে রাজনীতে নামেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন। এ ছাড়া জিয়াউর রহমানের সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর আসন থেকে ১৯৭৯, ১৯৯১, ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। খালেদা জিয়ার সরকারে তিনি শিক্ষামন্ত্রী এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৯৬ সালে বিএনপি যখন বিরোধী দলে তখন সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্বও পালন করেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপির মনোনয়নে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, রাজনৈতিক কারণেই ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
রাজনৈতিক মতৈক্য না হওয়ায় বিএনপি থেকে বেরিয়ে ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে এর সভাপতি পদে বসেন এই রাজনীতিক।