• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

হুট করে প্লট ও ফ্ল্যাট মালিকেরা জানলেন আর বসবাস করা যাবে না, টাঙানো হলো লাল নিশান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ১০:৩২ এএম
হুট করে প্লট ও ফ্ল্যাট মালিকেরা জানলেন আর বসবাস করা যাবে না, টাঙানো হলো লাল নিশান
ছবি : সংগৃহীত

বহুতল ভবন করে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসা বাসিন্দারা হুট করে জানলেন আর বসবাস করা যাবে না।  বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পের ২৩টি প্লট সরকারি খাস জমি দাবি করে দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এসব জমিতে অনেকেই গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন। কারও বাড়ি নির্মাণাধীন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ওই সব প্লট ও ফ্ল্যাট মালিকেরা। 

সংকট সমাধানে প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানিয়েছে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষ। আর খাসজমি উদ্ধারে কঠোর অবস্থানে ঢাকা জেলা প্রসাশন।

প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বিঘা জমি নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্প। অত্যাধুনিক হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলাধুলার সুবিধাসহ গড়ে তোলা হয়েছে রাজধানীর বুকে এক টুকরা শহর।

তবে হঠাৎ করেই বিপাকে এইচ ব্লকের বেশ কিছু প্লট ও ফ্ল্যাট মালিক। জমি কিনে বাড়ি করেছেন, বসবাসও করছেন, অথচ এখন হুট করে জেনেছেন তাদের বাড়ি সরকারি জমিতে। জেলা প্রসাশন থেকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল নিশান ও বিশেষ সতর্কবার্তা। কাঁটাতারের বেড়া তুলে দেওয়া হয়েছে কারও কারও প্লটে। এইচ ব্লকের ৯ নম্বর সড়কে ৩ কাঠার ১৫টি ও ৮ নম্বর সড়কের আরও ৮টি প্লট পড়েছে খাসজমিতে।

এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এসি ল্যান্ড এসে লাল পতাকা দিয়ে গেছে। পরে এসে কাটা তার এবং এরও দুই দিন পর এসে সাইনবোর্ড দিয়েছে কোনো নোটিশ ছাড়াই। এ নিয়ে কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। তারা এসে বলছে এটা সরকারি জায়গা।’  
আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমাদের এভাবে হ্যারাজমেন্ট করার তো দরকার নেই।’

গ্রাহকের ভোগান্তির দায় কাঁধে নিয়ে জটিলতা নিরসনে কাজ শুরু কথা জানিয়েছে বসুন্ধরা কৃর্তপক্ষ।
জেলা প্রসাশন থেকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল নিশান ও বিশেষ সতর্কবার্তা।
ঢাকা জেলা প্রশাসন বলছে, সিএস, এসএ, আরএস ও সিটি জরিপ অনুযায়ী ওই জমিগুলো সরকারি। আইনি প্রক্রিয়ায় যা দখলমুক্ত করা হচ্ছে।       
প্লট বা ফ্ল্যাট কিনে বিপাকে পড়া মালিকদের সংকটের সমাধান বসুন্ধরাকেই করতে হবে বলে মনে করে, ঢাকা জেলা প্রশাসন।

Link copied!