ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক

ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটির আগে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চলছে। ঈদের টানা ছুটি শুরু হবে শুক্রবার থেকে, যা চলবে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত। ফলে শেষ মুহূর্তের লেনদেন সেরে নিতে ব্যাংকগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহকরা।

যদিও শুক্র ও শনিবার (২৮ ও ২৯ মার্চ) বিশেষ ব্যবস্থায় কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যাংকের শাখা সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকবে, তবে বৃহস্পতিবারই শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। 

ছুটির দীর্ঘসূত্রতায় ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ব্যাংকগুলোর শাখাগুলোতে লেনদেনের চাপ বেড়েছে। গ্রাহকরা নগদ টাকা উত্তোলন, ঋণ গ্রহণ, রেমিট্যান্স ডলার ভাঙানো, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করছেন।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রাহকদের চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে, যাতে নির্বিঘ্নে লেনদেন সম্পন্ন করা যায়।  

ব্যাংকের ভিড় সম্পর্কে মতিঝিলের এক গ্রাহক বলেন, ‘প্রতি ঈদের আগেই ব্যাংকে আসতে হয় টাকার প্রয়োজনে। তবে আজ তুলনামূলক ভালো ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে। ভিড় থাকলেও লেনদেনের গতি স্বাভাবিক রয়েছে।’

ঈদ সামনে রেখে নগদ টাকার বাড়তি চাহিদা মেটাতে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত তারল্য সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে নগদ অর্থের সংকট দেখা দেয়নি।  

বেবী নাজনীনের প্রত্যাবর্তনবেবী নাজনীনের প্রত্যাবর্তন
এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকির কারণে কলমানি মার্কেটে সুদের হারও স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, সুদের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, যা স্বাভাবিক অবস্থাতেই আছে। ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়নি।  

যদিও আজ বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রমের শেষ দিন, তবে পোশাক শিল্প এলাকার লেনদেন সুবিধার্থে আগামী দুই দিন নির্দিষ্ট কিছু শাখা সীমিত সময়ের জন্য খোলা রাখা হবে। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং পরদিন শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত।

এই বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কিছু ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে।  

ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে এটিএম বুথ, অনলাইন ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে টাকা তোলা ও জরুরি লেনদেনের জন্য ডিজিটাল সেবার ওপর নির্ভর করতে হবে গ্রাহকদের।  

সেনাবাহিনীতে অনারারি কমিশন প্রদানসেনাবাহিনীতে অনারারি কমিশন প্রদান
ব্যাংক লেনদেনের শেষ দিনে গ্রাহকদের মধ্যে একধরনের তাড়াহুড়ো দেখা গেলেও, ব্যাংকগুলো তাদের লেনদেন দ্রুত ও নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশাল ছুটির আগে বৃহস্পতিবারই গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাই শেষ মুহূর্তের প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে নিচ্ছেন সবাই।  

ঈদের ছুটির আগে বৃহস্পতিবার ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য শেষ সুযোগ হওয়ায়, লেনদেন সেরে ফেলতে গ্রাহকদের ভিড় থাকলেও ব্যাংকগুলোর আগাম প্রস্তুতির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।