নিত্যপণ্যের দামে অস্বস্তি ক্রেতাদের। রাজশাহীতে কেটে পিস হিসেবে ইলিশ মাছ বিক্রি করা শুরু হয়েছে। ফলে ক্রেতারা চাইলে নিজের চাহিদামতো ইলিশের পিস কিনতে পারছেন। এক কেজি সাইজের একটি ইলিশের এক টুকরা (আনুমানিক ১০০ গ্রাম) কেনা যাচ্ছে ২০০ টাকায়।
আর চাঁদপুরের মতলবে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস ২-৩ টাকায়। আর এক হালি (৪টি) বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়। দাম খুব বেশি হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতাই কিনছেন না সেগুলো। কেউ কেউ ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম করে কিনছেন। নিম্ন আয়ের অনেক ক্রেতা খরচ বাঁচাতে পিস হিসেবেও কিনছেন মরিচ। প্রতি পিস কাঁচা মরিচ ২ থেকে ৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গুনে গুনে মরিচ কিনছেন অনেকে।
তবে বিষয়টিতে ক্রেতারা খুশি হলেও বিক্রেতারা বলছেন, সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রামের নিচে ইলিশ কেনাবেচায় লোকসান হবে তাদের। অন্তত ২৫০ গ্রাম ইলিশ কিনলে মাছের প্রায় সব অংশ থেকে ভাগ পাবেন ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারের মাছপট্টিতে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নেতারা। এ সময় তারা সব ইলিশ মাছ ব্যবসায়ীদের কেটে ইলিশ বিক্রির জন্য অনুরোধ করেন। রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ ও ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে কেটে টুকরো করে ইলিশ মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাজারে ৬০০ গ্রাম থেকে শুরু করে এক কেজি পরিমাণের আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। ফলে কেজি ওজনের ইলিশ মাছগুলো অনেক সময় ক্রেতাদের কিনতে হয় ২ হাজার টাকার বেশি দামে। চড়া দামের কারণে অনেক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের পক্ষে আস্ত ইলিশ কেনা সম্ভব হয় না। তাই অনেকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরেই থেকে যায় জাতীয় এই মাছটি।
একজন ইলিশ মাছ বিক্রেতা জানান, আজ থেকে রাজশাহীর বাজারে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ। বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা কেজি। আর প্রতি ২৫০ গ্রাম ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। তার কাছে দুপুর ১২টার পর্যন্ত চারটি কাটা মাছ বিক্রি হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্তত ২৫০ গ্রামের নিচে ইলিশ মাছ নিলে লোকসান হবে। কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম ইলিশ কেউ কিনলে মাথা, লেজসহ বিভিন্ন অংশ পাবেন। এ পরিমাণ মাছ বিক্রি হলে ক্রেতা ও বিক্রেতার জন্য ভালো হবে।
এদিকে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাজারে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। দাম নাগালের বাইরে থাকায় ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কিনছেন পিস হিসেবেও। প্রতিটি কাঁচা মরিচ দুই থেকে তিন টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক সবজি বিক্রেতা। গত রোববার ও সোমবার কাঁচাবাজারগুলোতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে আমদানি কম থাকায় কাঁচা মরিচের এই উচ্চমূল্য। তবে একাধিক ক্রেতার অভিযোগ, বাজারে তদারকি না থাকায় কাঁচা মরিচসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।