ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় পুনঃতদন্ত কমিশন কেন নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ রুল জারি করেন।
এর আগে সোমবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলে জানান।
আজ থেকে সাড়ে ১৫ বছর আগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে। সেই বিদ্রোহের পর বিডিআরের নাম বদলে হয়ে যায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। পোশাকেও পরিবর্তন আসে।
বিডিআর বিদ্রোহের বিচার বিজিবির আদালতে হলেও হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে। এতে দুটি মামলা হয় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হত্যা মামলায় খালাস পান ২৭৮ জন।
হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলায় মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের। ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে।