১৯৭১ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কতজন চাকরি পেয়েছেন, তা জানতে তালিকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ তালিকা তৈরি করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৪ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকার বিষয়ে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তৈরিকৃত তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে বলে জনমনে ধারণা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী?
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন, যাচাই-বাছাই, অমুক্তিযোদ্ধাদের বাতিল করাসহ সার্বিক বিষয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেয়, এর আলোকে মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করে। জামুকার আট সদস্যের বোর্ড রয়েছে।
সচিবের এমন উত্তর শোনার পর উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম উপদেষ্টা বোর্ডে কারা থাকেন, কাজের প্রক্রিয়া কী ইত্যাদি জানতে চান। এরপর জামুকার বোর্ড পুনর্গঠনসহ একগুচ্ছ নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা।