সারা দেশের সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তাপপ্রবাহের কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক সভা শেষে তিনি এই নির্দেশনার কথা জানান।
সামন্ত লাল সেন বলেন, “তাপপ্রবাহের কারণে কোল্ড কেস (যাদের এখন ভর্তি হওয়ার দরকার নেই) এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালগুলো প্রতিকূল পরিবেশের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”
বয়স্ক ও শিশুরা যেন প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে না যায়, সে বিষয়েও পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে রাজধানীসহ সারা দেশ। দেশের একাধিক জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
রোববার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের বাকি ৮ জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, কক্সবাজার, চাঁদপুর ও রাঙ্গামাটি জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা এবং রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্ট ৭ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি আগামী ৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
যশোরে শনিবার (২০ এপ্রিল) মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও গাজীপুরে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন ৩ জন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রোববার দেশের সর্বনিম্ন ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, রোববার রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং অন্যান্য জায়গায় তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ পরিস্থিতি আগামী ৩ দিন থাকতে পারে। তবে এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।