শুরু থেকে সচেতন হলে ডেঙ্গু সংক্রমণ ‘হ্রাস’ পাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। তিনি বলেছেন, “ডেঙ্গুবিষয়ক সমস্যা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। প্রতি বছরই এটা নিয়ে মহড়া হয়। যখনই ডেঙ্গু বাড়তে থাকে তখনই আমরা হইচই করি। নানারকম কার্যকলাপ দেখাই। কিন্তু, যদি গোঁড়া থেকেই পদক্ষেপ নেওয়া থাকে, শুরু থেকে আমরা প্রত্যেকে সচেতন হই, তাহলে ডেঙ্গু সংক্রমণ হ্রাস পাবে।”
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উপদেষ্টা পুরান ঢাকার নয়াবাজারের নবাব সিরাজউদ্দৌলা পার্ক ও আহমেদ বাওয়ানি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় লার্ভা সাইডিং ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, “ডেঙ্গুতে মৃত্যু সংখ্যা কম, এতে সন্তুষ্টি প্রকাশের কিছু নেই। সংক্রমণ হচ্ছে, এটাই আমাদের চিন্তার বিষয়, আমাদের এদিকে বেশি নজর দিতে হবে। সংক্রমণ রোধে দুইটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একটা হল চারপাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, লার্ভা সাইডের মেডিসিন দেওয়া, ফগিং করা। আরেকটা হলো জনগণকে সচেতন করা।”
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা বলেন, “আপনারা বিভিন্ন পাড়ায় বা মহল্লায় গিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করুন। কাউন্সিলরকে প্রথমেই গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, কেন তার এলাকা এত অপরিচ্ছন্ন। তাহলে দেখা যাবে, কাউন্সিলররাও তৎপর হবেন এবং ধাপে ধাপে পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেও মাঠে পাওয়া যাবে।”
হাসান আরিফ আরও বলেন, “চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ডেঙ্গু সংক্রমণরোধে তারা প্রতিটা খুঁটিনাটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে এই টিমগুলো কাজ করবে।”
পরিদর্শনকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামানসহ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।