• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ডিবিতে কী কী করেছেন, বিদায়ী বক্তব্যে বলে গেলেন হারুন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম
ডিবিতে কী কী করেছেন, বিদায়ী বক্তব্যে বলে গেলেন হারুন
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন হারুন অর রশীদ। ছবি : সংগৃহীত

ডিবি থেকে বদলি উপলক্ষে বিদায়ী বক্তব্যে নিজের অর্জন তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) হারুন অর রশীদ। বলেছেন, “ডিবিতে থাকাকালীন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে এমপি আনার হত্যার মামলাসহ অসংখ্য খুনের ঘটনায় নির্ভুলভাবে তদন্ত করে সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে মামলার ক্লু বের করেছি। আমরা কোনো নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করিনি। আর প্রভাবশালী ব্যক্তি যত বড় ক্ষমতাসীন হোক না কেন জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দিইনি।”

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির গোয়েন্দা কার্যালয়ের সামনে ডিবি থেকে বদলি উপলক্ষে বিদায়ী বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নিজের অর্জনের কথা তুলে ধরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে হারুন অর রশীদ বলেন, “আমি তিন বছর তিন মাস ডিবিতে কাজ করেছি। আপনারা সব সময় আমার পাশে ছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মেনে ডিবিকে সাধারণ মানুষের আস্থার দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া। এ সময়ে আমি সাধারণ মানুষের কাছে ডিবিকে একটা আস্থার জায়গায় পরিণত করেছি। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তথা বিশ্বের মানুষ জানে কারও কোনো সমস্যা হলে ডিবিতে গেলে প্রবলেম সলভ হতে পারে। এই মনে করে অসংখ্য মানুষ আমাদের কাছে আসছে। আমরা চেষ্টাও করেছি তাদের কাজটা সুন্দরভাবে করে দেওয়ার। যার কারণে সাধারণ মানুষ ডিবির নামটা জানে। আমি চেষ্টা করেছি ডিবিকে একটা আস্থার জায়গায় নিয়ে যেতে।”  

সাবেক এই ডিবি প্রধান বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আরেকটি জায়গায় পদায়ন করেছে। ডিএমপিতে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। মানুষের সব শেষ ভরসাস্থলের জায়গা থানা। থানা যেন মানুষকে সেবা দিতে পারে সেই লক্ষ্যে আমি চেষ্টা করব সাধারণ মানুষ থানায় আসে এবং সেবাটা পায়। যেকোনো ঘটনায় থানায় গিয়ে জিডি-মামলা করতে পারে। আমি চেষ্টা করব থানাকে সাধারণ মানুষের আস্থায় নিয়ে যেতে।”

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, “কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নাশকতা-সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। কেউ যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে না। যারা ঘটনার সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে জড়িত, যারা আগুন লাগিয়েছে, মেট্রোরেলে ভাঙচুর-অগ্নিকাণ্ড করেছে, রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি ভবনে আগুন লাগিয়েছে, পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে, এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।”

Link copied!