ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা চাইলে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ব্যবস্থা করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন এক রিটের শুনানি নিয়ে আদালত বলেন, আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে কারাবন্দিদের কনডেম সেলে রাখা যাবে না। অন্য বন্দিদের মতো তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে অপেক্ষমাণ ছিল।
এর আগে মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়।
চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কনডেম সেলে বন্দি ২ হাজার ৫৫৬ জন নারী-পুরুষ।