‘কোটা সংস্কার’ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৯৮ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে ৯৭ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি একজনের লাশ হাসপাতালেই রয়েছে।
শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম।
আশরাফুল আলম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন এক হাজার ৫৬০ জন। এরমধ্যে ৩৭১ জন ভর্তি হন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। এখন হাসপাতালে ১৫৯ জন ভর্তি আছেন।
ঢামেক সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় আহত হয়ে ১৫ জুলাই ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে টিকিট কাটেন ৩০৬ জন, এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ১৩ জন; ১৬ জুলাই টিকিট কাটেন ১২৯ জন, এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ৯ জন; ১৭ জুলাই টিকিট কাটেন ৬৫ জন, এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ৮ জন; ১৮ জুলাই টিকিট কাটেন ২৭৬ জন, এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ৮৭ জন; ১৯ জুলাই টিকিট কাটেন ৪৮২ জন, এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ১৫৫ জন; ২০ জুলাই টিকিট কাটেন ১৮৯ জন, এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ৭৬ জন; ২১ জুলাই টিকিট কাটেন ৯৩ জন, এর মধ্যে ভর্তি করা হয় ২০ জন এবং ২২ জুলাই টিকিট কাটেন ২০ জন, এর মধ্যে ভর্তি করা হয় তিনজনকে।