কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভিজল রাজধানী। তাপপ্রবাহের মধ্যে এমন ঝড়-বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে দিয়ে ফিরেছে স্বস্তি। রোববার (৫ মে) সন্ধ্যার পরই আকাশে ঘন মেঘের দেখা মেলে। পাল্টে যায় ঢাকার বাতাস।
এক মাসের বেশি সময় পর অনেকটা প্রাণ জুড়ানো শীতল হাওয়ার স্পর্শ পান নগরবাসী। একই সময়ে ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও ঝরতে থাকে। টানা মাস ধরে চলা অস্বস্তিকর গুমোট আবহাওয়া কেটে যেতে থাকে।
রোববার রাত ১০টার আগে আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো শুরু হয়। এরপর পাওয়া যায় বজ্রের গর্জন। রাত ১০টার পর সেই বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টি পড়তে থাকে। একইসঙ্গে কালবৈশাখীর সেই রূপে দেখা মেলে।
তবে প্রথম দফায় ঝড় থেমে গেলেও বৃষ্টি ঝরতেই থাকে। এর মধ্যে রাত পৌনে ১২টার দিকে ব্যাপক বজ্রপাত ও বিকট শব্দ কিছুটা ভয়-শঙ্কা জাগায়। ঝড়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কাকরাইলে রাস্তার ওপর একটি গাছ ভেঙেছে পড়েছে। অন্যদিকে, মোহাম্মদপুরে একটি অর্ধপাকা ঘরের দেওয়াল ধসে পড়েছে। এই দুই এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত ঢাকায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় ৫৯ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। নগরীতে চলতি মাসে এ ধরনের কালবৈশাখী বা বজ্রঝড় এটাই প্রথম। তবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝড় থেমে গিয়ে মহনগরীর রাতের আকাশে তারা ফুটে ওঠে।
এর আগে গত ২ মে একইভাবে সন্ধ্যার পর থেকে মেঘের আনাগোনা দেখা দেয়। এরপর মধ্যরাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। বিশেষ করে রাত ১২টার পর রাজধানীর মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হয়।