প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা ছিলেন অহিংস রাজনীতির রূপকার ও গণমানুষের নেতা। ঢাকা—৫ নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি পরিবারের খবর রাখতেন তিনি। প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন—সংগ্রামেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। রাজনীতি করতে গিয়ে সামরিক সরকার থেকে শুরু করে বিএনপি—জামায়াত সরকারের রোষানলে পড়ে বারবার জেল খেটেছেন তিনি। কিন্তু কখনোই বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোষ করেননি। তিনি কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন সবসময়। রাজনীতিতে কর্মী তৈরি ও এলাকার উন্নয়নে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
রোববার (৭ মে) যাত্রাবাড়ীর ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা—৫ আসনের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও ৪ বারের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মোল্লার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মোল্লা স্মৃতি সংসদ।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লা ছিলেন অহিংস রাজনীতির রূপকার। শুধু ঢাকা—৫ আসনের গণমানুষের নেতাই নয়, তিনি ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন নেতা। দলের দুঃসময়ে হাবিবুর রহমান মোল্লা জীবন বাজি রেখে জাতির পিতা শেখ মুজিবুব রহমানের প্রতিটি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দুর্দিনে রাজপথে আন্দোলন—সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেছেন।”
তিনি বলেন, “ঢাকা—৫ নির্বাচনী এলাকায় প্রতিটি ঘরে ঘরে দিন—রাত অবিরাম পরিশ্রমের মাধ্যমে কর্মী তৈরি করেছেন তিনি। আজকে অত্র এলাকা আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এর নেপথ্যের কারিগর ছিলেন আমাদের প্রিয়নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা।”