দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে সারা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
‘আগ্নেয়াস্ত্ররে লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬’ অনুযায়ী প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ইসরাত জাহানের স্বাক্ষরে জারি হয় প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ‘সারা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬’ এর ৩১ (ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা শুধুমাত্র ২০২৩ সালের লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ এর পরিবর্তে ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ হতে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হল।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী নাগরিকত্ব, বয়স, আয়কর দেওয়াসহ বেশ কিছু শর্ত পূরণের পর জেলা প্রশাসক ছোট (পিস্তল-রিভলবার) এবং বড় (শটগান) অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়ে থাকেন। পিস্তল-রিভলবারের লাইসেন্সের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রও লাগে।
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সূত্র বলছে, সারা দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৫০ হাজার ৩১০টি। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়ার তালিকায় আছেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
এসব বৈধ অস্ত্রধারীর বেশিরভাগই গুলি খরচের সঠিক হিসাব দেন না বলে অভিযোগ আছে। বছরের পর বছর লাইসেন্সের বিপরীতে গুলি সংগ্রহ করলেও গুলি খরচ করার পর থানায় জানানোর নিয়মের তোয়াক্কা করেন না অনেকে।
এজন্য নজরদারি কড়াকড়ি আরোপে বৈধ অস্ত্রের তালিকা ডিজিটাল পদক্ষেপ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। এজন্য সারা দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নিয়ে বৈঠক ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা বলছে, ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে প্রত্যেক বৈধ অস্ত্রধারীর আলাদা করে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। পরিচয়পত্রে নাম, ছবিসহ লাইসেন্সের নম্বর, অস্ত্রের ধরন, গুলি খরচের হিসাব—সব তথ্য হালনাগাদ করা থাকবে। কার্ড পাঞ্চ করলে সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে।
কোনো কারণে সন্দেহ হলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সহজেই ওই বৈধ অস্ত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।