২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, প্রবৃদ্ধি তার চেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থার তথ্যে জানা যায়, ৬ শতাংশের উচ্চতর এই বরাদ্দ দেশের শক্তিশালী নিট রপ্তানিকে নির্দেশ করে; কারণ এই অর্থবছরে আমদানি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত হ্রাস পেয়েছে এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম হ্রাস পেয়েছে।
সরকারি নীতি সহায়ক হওয়ায় সব ধরনের পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে বলে উল্লেখ করে সংস্থাটি।
বন্যা, ঝড়, খরার কারণে ফসলের ক্ষতিতে ভর্তুকি, প্রণোদনা এবং অন্যান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে পূরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জনসাধারণের ভোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগও বেড়েছে।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে এডিবি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ৬.৫ শতাংশের যে প্রাক্কলন দিয়েছিল, তা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য ৪.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) জুলাই ২০২৩ অনুযায়ী, জ্বালানি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে যাওয়ায় মুদ্রস্ফীতি কমতে থাকবে বলে আশা করা হয়।
এপ্রিলের ৪.২ শতাংশের তুলনায় এ বছরের পূর্বাভাসে উন্নয়নশীল এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি ৩.৬ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
এদিকে ২০২৩-২৪ সালের জন্য মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৩.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩.৪ শতাংশ করা হয়েছে।
গত এপ্রিলে এডিবি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির ৬.৫ শতাংশের যে প্রাক্কলন দিয়েছিল তা এখনো অপরিবির্তিত আছে।