• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
অন্তর্বর্তী সরকার

বাড়ছে পরিসর, ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রশাসন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
বাড়ছে পরিসর, ঢেলে সাজানো হচ্ছে প্রশাসন
শপথ নিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বাধীন গঠিত হয়েছে ১৭ উপদেষ্টা বিশিষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার। তারা শপথ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। ইতোমধ্যে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) নতুন সরকারে আরও চার উপদেষ্টাকে যুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, লে. ক. (অব) জাহাঙ্গীর আলম ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এর বাইরে ‍উপদেষ্টা হিসেবে সাবেক একজন সেনা কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

বঙ্গভবনের সূত্র অনুযায়ী, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) নতুন উপদেষ্টাদের শপথ গ্রহণ হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন নতুন সরকারের প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে প্রতিটি স্তরেই ব্যাপক রদবদল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সচিবালয়ে শীর্ষ পদ, বিভিন্ন সংস্থা বা দপ্তরে ও মাঠ প্রশাসনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। পরিবর্তন এসেছে পুলিশের আইজিপি, এসবি, র‍্যাব, পুলিশ কমিশনার পদে। শুধু তাই নয়, দেশের প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপারসহ থানাতেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, “সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকার আমলের সচিবদের ওএসডি করে নতুন করে সচিব পদায়ন করলে কাজের গতি পাবে এই সরকার।”

তাদের মতে, নতুন সরকারকে পুরোপুরি সফল হতে হলে পুরোনো প্রশাসন বহাল রাখা কোনোভাবেই সমীচীন হবে না।

কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বর্তমানে উচ্চপদে থাকা কর্মকর্তারা আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেষ্টা করবে। দ্রুত তাদের সরিয়ে বিভিন্ন সময়ে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিতে হবে।

দৃষ্টান্ত হিসেবে তারা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরদিন থেকেই পদোন্নতিবঞ্চিত বিভিন্ন ক্যাডার ও নন ক্যাডার কর্মকর্তাদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে। জনপ্রশাসন সচিব ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে যারা সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তা বলে পরিচিত, তারা এখনো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরের প্রধান। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে তাদের অনেকেই দায়িত্ব হারাতে পারেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তি বাতিল হয়েছে।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া মোট ১৯ জন পূর্ণ সচিবের মধ্যে ১০ জনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। বাকিদের নিয়োগও বাতিল হবে। বিশেষ করে মাঠ প্রশাসনের বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কারণ, প্রশাসনে অসংখ্য কর্মকর্তা আছেন যাদের শুধু রাজনৈতিক কারণেই পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, “সরকারের গতির জন্য প্রশাসন অন্যতম ভূমিকা রাখে। প্রশাসনের যেসব কর্মকর্তা সাবেক সরকারের কট্টর সমর্থক বলে পরিচিত, তাদের ওএসডি বা কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পদায়ন করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ইমেজের কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন।”

Link copied!