• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘অভিযোগ জানানোর ফোরাম পেয়েছে ছাত্র-জনতা’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
‘অভিযোগ জানানোর ফোরাম পেয়েছে ছাত্র-জনতা’
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ফাইল ফটো

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, “সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবনের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করার একটা ফোরাম পেয়েছে।”

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সমালোচিত বিচারকদের প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদের হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। জুলাই গণ-বিপ্লবে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি ছিল, সেই শক্তির নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিল। কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, পত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছে। ছাত্র-জনতার ক্ষোভ রয়েছে।”

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল এখন অপারেশনাল করা যাবে, বর্তমান সময়ে এসে এটার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, “এখন সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তির একটা অ্যাভিনিউ খুলে গেছে। এ ছাড়া উচ্চ-আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন, তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে একটা ফোরাম পেল। এটিকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখতে চাই।”

সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কবে গঠন হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, “এটা আমাদের সংবিধান অনুযায়ী এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ দুইজন বিচারক মিলে গঠিত হয়। এখন কেউ যদি আজই কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে সেটির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। অভিযোগ দিতে হবে, আলাদা নোটিফিকেশনের দরকার নেই।”

আইন উপদেষ্টা বলেন, “সুপ্রিম জুডিসিয়াল না থাকায় উচ্চ-আদালতের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ফোরামটা ছিল না। আবার জবাবদিহি নিশ্চিত করার ইচ্ছাও তৎকালীন উচ্চ-আদালতের প্রশাসনের ছিল না। তখন ফরমায়েশি রায় হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে-রকম রায় হয়েছে, যেমন হয়েছে যে, তারেক রহমানকে বাংলাদেশে কথাই বলতে দেওয়া হবে না।”

আসিফ নজরুল আরও বলেন, “বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করার মতো এমন রায়ও হয়েছে। এ ছাড়া বহু মানুষ তাদের মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পাননি। বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন, আদালতের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সদিচ্ছা তাদের আছে।”

Link copied!