যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, “২০২৩ সালে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যক্ষ্মা প্রতিরোধের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা এগিয়ে নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
রোববার (২৩ জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোবাল ফোরামের যক্ষ্মা রোগের অবসান ঘটাতে মাল্টিসেক্টরাল এবং মাল্টিস্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততা এবং জবাবদিহিতার অগ্রগতি শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “যক্ষ্মা এমন একটা ব্যাধি, যা শুধু আমাদের দেশ নয়, বৃহত্তরভাবে বিশ্ব সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করছে। যক্ষ্মা যা আমরা টিবি হিসেবে জানি, দীর্ঘকাল ধরে জনস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের লড়াইয়ে একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। এই রোগের প্রভাব দূর-দূরান্তে পৌঁছায়, বিশ্বে প্রতি বছর ১০.৬ মিলিয়ন মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। যক্ষ্মা রোগ দূরীকরণে মূল কারণগুলি মোকাবেলা করা এখন আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, “এই গ্লোবাল ফোরামের উদ্বোধনীতে, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মা দূর করার উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। যা এসডিজি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যক্ষ্মা দূরীকরণ কৌশল, এবং যক্ষ্মার ওপর জাতিসংঘের উচ্চস্তরের বৈঠকের রাজনৈতিক ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত একটি লক্ষ্য। আমাদের জ্ঞান, কৌশল এবং সম্মিলিত ইচ্ছাকে একসঙ্গে কাজে লাগিয়ে আশা করি এই লক্ষ্যকে বাস্তবে পরিণত করতে পারব।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. সায়মা ওয়াজেদ ভিডিও বার্তায় যক্ষ্মা রোগ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর টি কাসিভা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বর্ধন জং রানা প্রমুখ।