সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রেশন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের এই উদ্যোগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সচিবালয়ের বাইরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
দুদকের মতো বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রেশন সুবিধা দিতে ১২ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। ওই আবেদনের সূত্র ধরে গত ২৫ মার্চ অর্থ সচিবকে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ-১ শাখা।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ কর্তৃক সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো রেশন সুবিধা দেওয়াসংক্রান্ত প্রস্তাবটি অনুকূল বিবেচনার জন্য সুপারিশসহ নির্দেশক্রমে পাঠানো হলো। এতে খাদ্য উপদেষ্টার অনুমোদন রয়েছে।
এদিকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রেশন সুবিধা চালুর উদ্যোগের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (২৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠন দুটির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ-১ শাখা থেকে সচিবালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের রেশন সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে যে সুপারিশ নির্দেশনাসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, তাতে সচিবালয়ের বাইরের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা চরমভাবে ক্ষুব্ধ ও হতাশ। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দীর্ঘ ছুটির প্রাক্কালে এ ধরনের চিঠি ইস্যু করাও দুরভিসন্ধিমূলক। সবার অগোচরে এ কাজ বাস্তবায়ন করার সুপ্ত বাসনা থেকে এই চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান পে-স্কেল ইতিমধ্যে ১০ বছর অতিক্রম করেছে। কর্মচারীদের বর্তমানে জীবনধারণ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই বাস্তবতায় কর্মচারীরা যেখানে পে-স্কেল ও মহার্ঘ ভাতার জন্য মাঠে আন্দোলনরত, তখন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে এ ধরনের সুবিধা দেওয়া বিদ্যমান বৈষম্যকে আরও বাড়াবে। সেই সঙ্গে আমাদের পে–স্কেল ও মহার্ঘ ভাতার দাবিকে বাধাগ্রস্ত করবে। শুধু সচিবালয়ের কর্মচারীদের জন্য মূল্যস্ফীতি বাড়েনি, প্রজাতন্ত্রের সব স্তরের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বর্তমান বাজারব্যবস্থায় মাসের বেতন দিয়ে ১৫ দিনের বেশি চলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।