কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, “কৃষিখাতে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জনের পর বাংলাদেশ এখন খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে। একই সঙ্গে খাদ্য রপ্তানির দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে।”
রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম-২০২৩’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “গতানুগতিক থেকে বের হয়ে কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিখাত তৈরি পোশাক হলেও আমরা এর বাইরেও কাজ করতে চাই। সরকার কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণে সর্বাত্মক গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না।”
কৃষিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশে খাদ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পছন্দের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। মধ্যম-আয়ের মানুষের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে ভাত থেকে মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত পণ্য ও ফল জাতীয় খাবারের প্রতি চাহিদা বাড়ছে। কৃষকের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোক্তারা যে-সকল সমস্যার সম্মুখীন হন তা মোকাবিলায় উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম সেই সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে প্রত্যাশা রাখি।”
সম্বলিতভাবে কাজ করলে বেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কৃষিকে বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাজারজাত করতে পারলে দেশের কৃষি হবে আধুনিক এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে।”
বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন বলেন, “বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং রপ্তানির সুযোগকে প্রশমিত করতে দেশের কৃষি-খাদ্য ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। যখন একটি দেশের উন্নয়ন চলমান থাকে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়, সেই দেশ তখন বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।